হুদায়বিয়ার সন্ধি ও হযরত আলি রা.
ষষ্ঠ হিজরি সনে জিলকদ মাসে পনের শ সাহাবি নিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ করার নিয়তে মদিনা হতে মক্কার দিকে অগ্রসর হলেন। মক্কা হতে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌঁছে বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারলেন কোরাইশরা তাদেরকে মক্কানগরীতে প্রবেশ করতে বাঁধা দেবে। যুদ্ধ ছাড়া মক্কার দিকে এক পাও অগ্রসর হতে পারবে না। কিন্তু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধ করতে আসেননি । সে যাত্রায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হজ পালন করাই লক্ষ্য ছিল। শান্তিপ্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই সন্ধির প্রস্তাব পাঠালেন কোরাইশপের কাছে। কোরাইশরা সুহাইল ইবনে আমরকে সন্ধির শর্ত চূড়ান্ত করার জন্য পাঠালো। এই সন্ধিপত্রের লেখক ছিলেন হযরত আলি রা.। প্রথমেই তিনি লিখলেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, পরম দয়ালু ও করুণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। কোরাইশের প্রতিনিধি আপত্তি জানিয়ে বলল, রাহমান রাহীম বলে কোনো মাবুদ আছে একথা আমরা বিশ্বাস করি না। ওটা বাদ দিয়ে দাও। হযরত আলি রা. ইতস্তত করতে লাগলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কেটে ফেল। আলি রা. কেটে ফেললেন। তারপর হযরত আলি রা লিখলেন, আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদের পক্ষ হতে। কোরাইশ প্রতিনিধি বলল, মুহাম্মদকে আমরা রাসুল মানি না। রাসুল মানলে ঝগড়াই তো শেষ হয়ে যেত। রাসুল শব্দটা কেটে লিখ আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদের পক্ষ হতে। হযরত আলি রা. তা কাটতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন। কিন্তু এটা না করলে কোরাইশরা সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করবে না বলে জানাল। ফলে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিল। এই অবস্থায় শান্তির দূত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হস্তক্ষেপ করলেন। হযরত আলিকে বললেন, কাগজটা আমার হাতে দাও আর আমাকে দেখিয়ে দাও রাসুল শব্দটি কোথায় লিখেছ । সেটা আমি নিজ হাতে কেটে দিচ্ছি। এই সন্ধিকে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে প্রকাশ্য বিজয় বলে অভিহিত করেছেন।
খায়বর বিজয়
সপ্তম হিজরির মহররম মাসে মুসলিমবাহিনী মদিনা হতে খায়বরের উদ্দেশে যাত্রা করল। খায়বর অনেকগুলো সুরক্ষিত দূর্গের সমষ্টি। সম্মুখ যুদ্ধে না-পেরে ইহুদিরা দূর্গ-অভ্যন্তরে আশ্রয় নিল। তাদের যাবতীয় রণসম্ভার আর রসদও সেখানেই মজুদ ছিল। দীর্ঘ অবরোধের ফলে মুসলমানরা অনেকগুলো দূর্গ জয় করে নিল বটে কিন্তু সবচেয়ে বড় কামুস দূর্গটি কিছুতেই জয় করতে পারছিলো না। সেটা জয় করতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে হযরত আবু বকর রা. কে, তার পর হযরত ওমর ফারুক রা. কে প্রেরণ করেন। তারা কেউ সফলকাম হতে পারলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করলেন, এবার আমি এমন এক ব্যক্তির হাতে ঝাণ্ডা তুলে দেবো, যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলও তাকে ভালবাসে। তাঁর হাতেই কেল্লা বিজয় হবে। পরদিন সকালে সকল সাহাবিই এই গৌরব অর্জন করার আশা করছিলেন। তাই সকলেই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চোখের সামনে থাকার চেষ্টা করছিলেন। হযরত আলি রা. চোখের রোগে আক্রান্ত হওয়ার দরুন উপস্থিত হতে পারেননি। উপস্থিত না হলে অসুবিধা কি? এ গৌরব যে তার জন্যই নির্ধারিত ছিল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আলি কোথায়? সাহাবায়ে কেরাম রা. বললেন, আলি চোখের রোগে আক্রান্ত । রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিকে ডেকে চোখে কয়েকবার হাত বুলিয়ে দিলেন। সব যন্ত্রণা আল্লাহর রহমতে দূর হয়ে গেল। আরাম বোধ করতে লাগলেন তিনি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতে ইসলামের পতাকা ও কামুস দূর্গ অধিকার করার দায়িত্ব তুলে দিলেন। মহাবীর শেরেখোদা হযরত আলি খায়বরের কামুস দূর্গের প্রধান ফটকের সেই লোহার পাল্লা স্বহস্তে উৎপাটন করেন, যা সত্তরজন নওজোয়ান মিলেও নড়াতে সক্ষম ছিল না। কোনো কোনো বর্ণনা মতে, হযরত আলি রা. উক্ত ফটক ঢালের পরিবর্তে ব্যবহার করেন। খায়বরের যুদ্ধে হযরত আলি রা. অসাধারণ শৌর্য ও বীরত্ব প্রদর্শন করে ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
মদিনার গভর্নর
নবম হিজরির রজব মাসে ত্রিশ হাজার সেনাসদস্যের বিশাল এক দলকে নিয়ে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুক প্রান্তে রওনা হন। বিভিন্ন মাসলাহাতের পরিপ্রেক্ষিতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলি রা. কে মদিনার গভর্নর বানিয়ে যান। তখন মুনাফিকরা মদিনায় এই প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেয় যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিকে অনুপযুক্ত মনে করে মদিনায় রেখে গেছেন আলির সাথে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষ কোনো মনোমালিন্য হয়েছে। হযরত আলি রা. এ অভিযোগ শুনে অত্যন্ত মনোক্ষুণ হলেন এবং অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দ্রুত তাবুক অভিমুখে রওনা করেন। জারাফ নামক স্থানে মুসলিমবাহিনীর সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট মুনাফিকদের অপপ্রচার বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। এসব শুনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আলি, তুমি কি এ কথার উপর সন্তুষ্ট নও যে, তুমি আমার প্রতিনিধি হবে, যেমন হযরত হারুন আ. হযরত মুসা আ. এর প্রতিনিধি ছিলেন। হযরত মুসা আ. যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত আনার জন্য পঞ্চাশ ব্যক্তিকে নিয়ে পাহাড়ে যান তখন তিনি তার কওমের দেখাশোনার জন্য হযরত হারুন আ. কে স্থলাভিষিক্ত করে যান। অনুরূপ আমি তোমাকে মদিনায় আমার স্থলাভিষিক্ত বানিয়ে এসেছি। তবে পার্থক্য এতটুকু যে, হারুন আ. নবী ছিলেন, আর আমার পর কোনো নবী আসবে না । এ কথা শুনে হযরত আলি মদিনায় ফিরে এসে দায়িত্ব পালন করতে লাগলে।
ইসলাম প্রচার
হযরত আলি রা. যেমন ছিলেন অসাধারণ যোদ্ধা তেমনি অতুলনীয় বাগ্মী ও অভাবনীয় বক্তাও ছিলেন। তিনি বক্তৃতাকালে শ্রোতাবৃন্দের মধ্যে তন্ময়ভাব সৃষ্টি করতে পারতেন। তার ভাষণ ছিল মর্মস্পর্শী। তাই তিনি ছিলেন মানুষের অন্তর্জয়ী বিরল বক্তা ও বিশুদ্ধ বাগ্মী। দশম হিজরিতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচারের জন্য প্রতিনিধি পাঠান। ইয়ামানে পাঠিয়েছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদকে । তিনি দু’মাস চেষ্টা করেও ভাল ফল দেখাতে না পারায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিকে ইয়ামানে পাঠাতে মনস্থ করলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই প্রস্তাবে হযরত আলি রা. দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যান। তিনি কি কৃতকার্য হতে পারবেন? এ প্রশ্ন উঁকি দিল হযরত আলি রা. এর মাঝে। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলি রা. এর মনোভাব বুঝতে পেরে বললেন, আলি, তুমি চিন্তা কর না । আল্লাহ তোমাকে সফলকাম করবেন। তারপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলি রা. এর বক্ষে হাত রেখে দুআ করলেন। এরপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বহস্তে আলি রা. এর মাথায় পাগড়ি বেধে দিলেন। হাতে তুলে দিলেন একটি কাল পতাকা। সাথে দিলেন তিনশ সাহাবা । তারপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলি রা. কে কিছু উপদেশ দিলেন। হযরত আলি রা. রাসুলের প্রাণভরা দোয়া মাথায় নিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে বেরিয়ে গেলেন। ইয়ামানের বিখ্যাত গোত্র ছিল হামদান। তারা সকলেই ইসলাম কবুল করার পর ইয়ামানবাসী ইসলাম কবুল করল । হযরত আলি রা. বিপুল বিজয়ে ভূষিত হলেন।
দূত নির্বাচন
মক্কা বিজয়ের পর নবম হিজরিতে হজের বিধান অবতীর্ণ হয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের প্রথম হজ পালন উপলক্ষে হযরত আবু বকর রা. কে হজের আমির নিয়োগ করে বায়তুল্লাহ্ উদ্দেশে প্রেরণ করেন। তাদের যাত্রার পর সূরা তাওবা অবতীর্ণ হল। তাতে হজ, কাফেরদের সাথে সম্পর্কোচ্ছেদ, দায়িত্বমুক্তির ঘোষণাসহ বিশেষ কিছু নির্দেশনা ছিল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সূরাটি আবু বকর রা. এর নিকট পাঠিয়ে দিতে চাইলেন । তখন কেউ কেউ নবীজির খেদমতে আরজ করলেন, আরবদের রীতি হলো চুক্তি নবায়ন অথবা চুক্তি বাতিল সম্পর্কিত ঘোষণা কওমের সরদার অথবা প্রিয়জনের মাধ্যমে দেওয়া। সে হিসেবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফেরদের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি বাতিল ঘোষণার জন্য হযরত আলি রা. কে বিশেষ দূত হিসেবে পাঠালেন। এ সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আলি আমার এবং আমি তার।
রাসুলের ইনতেকাল
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইনতেকালের ফলে হযরত আলি রা. অন্তরে যে আঘাত পেয়েছেন, তা ছিল তার জীবনের সবচাইতে বড় আঘাত। রাসুলের রোগ হতে ইনতেকাল পর্যন্ত হযরত আলি রা. ছায়ার ন্যায় তার সাথে ছিলেন। এগারো হিজরি সনে রবিউল আউয়াল সোমবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ দেখা দেয়। হযরত আলি রা. কল্পনাও করতে পারেননি যে, সত্যিই তিনি তাদেরকে ছেড়ে চলে যাবেন। তাই লোকজন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শারীরিক অবস্থা জিজ্ঞেস করলে তিনি ভাল আছেন বলে উত্তর দিতেন। সেদিনই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতেকাল করেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইনতেকালের পর কাফন-দাফনের সমুদয় কাজ হযরত আলি রা. সমাধা করেন। হযরত আলি রা., হযরত ফজল রা. ও হযরত উসামা রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গোসল দেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র মুখ হতে কাফন খুলে সকলেই শেষবারের মত দেখলেন। হযরত আলি রা. বললেন, আমার মাতা-পিতা আপনার নামে উৎসর্গিত হোক। আপনার দেহ কতইনা কোমল ও সুগন্ধিময়। হযরত আলি রাসুলের মুখের দিকে তাকালেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বন্ধ চোখের উপর কয়েক ফোটা পানি জমে ছিল, হযরত আলি রা. মুখ লাগিয়ে তা চুষে নিলেন। হযরত আলি, হযরত আবদুল্লাহ ও হযরত ফজল রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লাশ মোবারক কবরে রাখেন।
খেলাফত লাভ
হযরত ওসমান গনি রা, বারো বছর খেলাফতের দায়িত্ব পালনের পর বিরাশি বছর বয়সে কুরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় বিদ্রোহীদের হাতে শাহাদাত বরণ করেন। হযরত ওমর রা. যে ছ’জন প্রধান সাহাবিকে নিয়ে নির্বাচকমণ্ডলী গঠন করে গিয়েছিলেন, ইতিমধ্যে তাদের দু’জনের মৃত্যু হয়েগেছে। একজন শুরু থেকেই খেলাফতের দায়িত্বগ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। বাকি আছেন হযরত আলি, হযরত তালহা আর হযরত জোবায়ের রা.। বিদ্রোহীরা হযরত আলি রা. কে খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য চাপ দিতে লাগল। তিনি দৃঢ়তার সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এবং বলেন, তালহা বা জোবায়ের যে-ই খলিফা হোক আমি সানন্দে তার বাইয়াত গ্রহণ করব। অবশেষে মদিনাবাসীর সুপারিশে খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হন তিনি। হযরত আলি রা. এর খেলাফতকাল অত্যন্ত জটিল ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। মুসলমানদের পরস্পরের লড়াইয়ে জঙ্গে জামাল ও জঙ্গে সিফনে এক লক্ষের অধিক মুসলমান শাহাদাত বরণ করেন। এ সময়েই খারেজি নামে নতুন একটি দলের জন্ম হয়। তাদের সাথেও তার মোকাবেলা করতে হয়।
শাহাদাতবরণ
চার বছর নয়মাস খেলাফতের দায়িত্ব পরিচালনা করে ৪০ হিজরির ১৭ রমজান শনিবার আবদুর রহমান ইবনে মুলজিম খারেজির শাণিত তরবারির আঘাতে কুফায় শাহাদাত বরণ করেন। তার জানাযা নামাযের ইমামতি করেন হযরত হাসান ইবনে আলি রা.। কুফার জামে মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হয় । অন্যমতে তাকে নাজাফে সমাহিত করা হয় ।
চলবে…………..
